সোনারগাঁয়ে অবৈধ নসিমনের যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক-
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের পিরোজপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বেপরোয়াভাবে অবৈধ ইঞ্জিনচালিত বালুবাহী নসিমন করিমনের বিষাক্ত কালো ধোঁয়া ও বিকট শব্দ দূষন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন শিক্ষার্থী সহ স্থানীয়রা। ইঞ্জিন চালিত নসিমন করিমনের নির্গত হওয়া কালো ধোঁয়া আর বিকট শব্দ দূষনে জনজীবন ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারন হয়ে দাড়িয়েছে ।
২২জুলাই(মঙ্গলবার)সোনারগাঁয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চল পিরোজপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পাচানী নদীর পাড় এলাকায় অবৈধভাবে একাধিক ইট ও বালুর থলার সন্ধান পাওয়া যায়। এলাকার কিছু সুবিধাভোগী বালু ব্যবসায়ীদের ছত্রছায়ায় বিকট শব্দ দূষন এবং কালো ধোঁয়া নির্গত করিমন ও নসিমন দিয়ে বালু পরিবহন করছেন,, পাচানী নদীর পার এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব থলার নেই কোন ইউনিয়ন ট্রেড লাইসেন্স,পাশাপাশি অবৈধ ইঞ্জিন চালিত এসব করিমন ও নসিমনের নেই কোন কাগজপত্র ও রোড পারমিট। কাক ডাকা ভোর হতেই অবৈধ কালো ধোঁয়া আর বিকট শব্দে ঘুম ভাঙ্গে এখানকার মানুষের, জনগুরুত্বপূর্ণ পাচানী বাজার রোডে অবস্থিত রয়েছে পাচতলা বিশিষ্ট শান্তি নগর দারুন নাজাত মাদ্রাসা, তাহেরপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসা, তাহেরপুর হাজী লালমিয়া উচ্চ বিদ্যালয় সহ অসংখ্য বিদ্যাপীঠ এসকল বিদ্যা পিঠের সকল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এ রাস্তা দিয়েই চলাচল করেন পাশাপাশি প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের চলাচলের অন্যতম ব্যস্ততম রাস্তা এটি প্রতিদিনই অবৈধ ইঞ্জিন চালিত এসব বালু পরিবহনে বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার মধ্যেই চলাচল করতে হয় এখানকার মানুষের।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন দুধঘাটা এলাকার সুবিধাবাদীরা মানুষ এবং পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে টাকা উপার্জনের ধান্দায় সমাজ সহ পরিবেশ নষ্ট করছেন তাদের বিরুদ্ধে এখন যথাযথ কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে জীবন এবং পরিবেশ বিপন্নের পথে যাবে। এছাড়া, এই দূষণ পরিবেশের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
স্বাস্থ্যবিদরা জানিয়েছেন,,, এই ধোঁয়া বায়ু দূষণ ঘটায়, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি এবং পরিবেশের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলে।
এই কালো ধোঁয়ায় থাকা ক্ষতিকর পদার্থ শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে। যেমন: শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, এজমা, চর্মরোগ, ইত্যাদি।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা রহমানকে ফোনে বিষয়টি অবগত করেও কোন সুরাহা পাওয়া যায়নি।