পিরোজপুর ইউনিয়নের পাঁচকানি গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমির হোসেনের বাড়ীতে লুটপাট ও ভাঙচুর
নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে পিরোজপুর ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডের মঙ্গলের গাও দুধ ঘাটা পাঁচকানির কান্দী(পাচানি গুদারা ঘাট সংলগ্ন) গ্রামের বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আমির হোসেনের সাথে পূর্ব শত্রুতার জেরে একই গ্রামের আওয়ামীলীগ সমর্থিত নেতাকর্মী আসামী ১।মোঃ ফারুক (৪২,) পিতা আহসানুল্লাহ ২।মোঃ রতন( ৪৫) পিতা মফিজুল ইসলাম মদুল ৩।আলামিন ( ৪৭) পিতা- দরবেশ আলী ৪। মফিজুল ইসলাম মদুল( ৬০) পিতা মৃত আমুদ আলী । ৫।বজলু (৪০) পিতা আহসান উল্লাহ ৬।বাদল( ৪০) পিতা আহসান উল্লাহ ৭। আয়নাল হক (৪২) পিতা রহমান মিস্ত্রি ৮।দেলোয়ার হোসেন( ৩৫) পিতা আব্দুল মোতালিব। তাদের সকলের গ্রাম পাঁচ কানির কান্দি ৯।ফরহাদ (২৫) পিতা আক্তার হোসেন সাং শহীদ নগর অজ্ঞাত আরো কয়েকজন সহ প্রায় ২৫- ৩০ জন সাঙ্গপাঙ্গ মিলে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙ্গচুর, মারপিট ও লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে।
গত ১১ সেপটেম্বর রাত ০৮ টার দিকে ধারালো রামদা, চাপাতি, লোহার রড, এসএস পাইপ, হকিষ্টিক, লোহার রড, লাঠিসোটাসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বে-আইনীভাবে বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ ও এলোপাথাড়ী ভাবে পিটাইয়া ঘরের ভেতর প্রবেশ করে এবং ঘরে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্রসহ টিভি, সুকেস, আলমারী ভাংচুর করে। ঘরে থাকা স্টীলের আলমারীর তালা ভাঙ্গিয়া ড্রয়ারে রাখা নগদ দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা ৩ ভরি স্বর্ন ও একটি সিঙ্গার ফ্রিজ এবং একটি টিভিসহ গোয়াল ঘরে থাকা তিনটি ষাড় গরু নিয়া যায়। এসময় আমির হোসেনের স্ত্রী বাঁধা দেয়ার চেষ্টা করিলে তার পরিহিত কাপড় টানা হেছড়া করিয়া শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে এবং শিশু সন্তান উর্মির গলা চাপিয়া হত্যার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা ঘরের চারপাশে কেরোসিন তেল দিয়া আগুন দেয়ার চেষ্টা করিলে আমির হোসেনের স্ত্রী মোসা: আছিয়া বেগমের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে সন্ত্রাসীরা খুন জখমের হুমকি দিয়া চলিয়া যায়।
পরে এ বিষয়ে বিএনপি নেতা আমির হোসেনের স্ত্রী মোসা: আছিয়া বেগম বাীদ হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঐ দিনই রাত ৮ ঘটিকার সময় সোনারগাঁও থানার( পুলিশ পরিদর্শক) এস,আই রতন বৈরাগী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান কিন্তু ঘটনার সাতদিন পার হয়ে গেলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার । এলাকায় এসব সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন চুরি ডাকাতি সহ মাদকের সাথে জড়িত রয়েছে। তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।